গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১০ গ্রাম চিনাবাদাম বা অন্য কোনো বাদাম খান তাদের ক্যানসার ও হৃদ্রোগসহ নানা রকম মরণব্যাধি থেকে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কম।
আরও উপকারিতা
প্রোটিন
চিনাবাদাম রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। এই অ্যামিনো অ্যাসিড বেড়ে ওঠার জন্য মাংস এবং ডিমের সমতুল্য।
ফাইবার
চিনাবাদাম ফাইবার বা আঁশের একটি ভাল উত্স এবং এটা রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল রাখে যাতে এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি না পায়।
ভিটামিন
চিনাবাদাম নিয়াসিন, ফোলেট, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, পাইরিডক্সিন এবং ভিটামিন ই এর একটি ভাল উত্স।
খনিজ
চিনাবাদামেম আছ কপার বা তামা, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা বা আয়রন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ। এসব খনিজ শরীরের সুস্থতা এবং সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
চিনাবাদাম এবং অন্যান্য বাদাম ডায়াবেটিস সুপারফুডের মর্যাদা অর্জন করেছে। চিনাবাদামে আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, এবং ভিটামিন এ এবং ই। চিনাবাদামের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম, যার অর্থ এটা রক্তে শর্করাকে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াকে বাধা দেয়।
হার্টের জন্য ভাল
কম চর্বিযুক্ত ডায়েটের মধ্যে চিনাবাদাম অনেক বেশি উপকারী। চিনাবাদামের মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারণে এই বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরল কমায়
কোলেস্টরেলের সমস্যা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। চিনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। চিনাবাদাম রক্তে ভালো ফ্যাট বৃদ্ধি করে ও কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
চিনাবাদাম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো চর্বির প্রয়োজন রয়েছে। আর চিনাবাদামে রয়েছে ভালো ফ্যাটি অ্যাসিড।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
অনেকেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি হারাতে শুরু করেন। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক খাদ্যের। চিনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
চিনাবাদাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে উন্নত করতে কাজ করে। চিনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নত করে।
Reviews
There are no reviews yet.